সাম্প্রতি সোসাল মিডিয়া X (টুইটার) এ একটা ভিডিও খুব ভাইরাল হচ্ছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে একটি হাসপাতালের কোনো ওয়ার্ডে পুলিশের জিপ গাড়ি ঢুকচ্ছে । সেই ওয়ার্ডটি রোগিতে ব্যস্ত সেই মুহূর্তে পুলিশের গাড়ি সেখানে প্রবেশ করে । গাড়ির পথে বিভিন্ন স্ট্রেচর আসছে এবং সেগুলিকে পুলিশকর্মীরা সরিয়ে দেয়ালে দিকে ঢেলে দিচ্ছে। পথ কে সুগম করার জন্য কয়েকটি পুলিশ ও হাসপাতালের সুরক্ষাকর্মীরা হুইসেল বাজিয়ে লোক জনকে একদিকে সরিয়ে দিচ্ছে।
মাত্র 26 সেকেন্ডের এই ভিডিও রয়েছে যেটা হয়তো কোনো রোগি বা তার সঙ্গী দ্বারা তুলা হয়েছে । যা এখন খুব ভাইরাল হচ্ছে।
কী হল আসল ঘটনা ?
প্রদত্ত ঘটনাটি AIIMS ঋসিকেশ হাসপাতালের ঘটেছে যেটি উত্তরাখন্ডের দেহেরাদুনে অবস্থিত । পুলিশের এই ঘটনা বিগত 19শে মে তারিখের । যেখানে পুলিশ হাসপাতালের একজন নার্সিং স্টাফ সতিশ কুমারকে অ্যারেস্ট করতে যায়।
সতিশ কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে তিনি AIIMS ঋসিকেশের অপারেশন থিয়েটারে একজন মহিলা ডাক্তারকে যৌন হেনেস্থ করেছেন। ঋসিকেশের পুলিশ অফিসার শঙ্কর সিং বিস্তের মতে, কুমার নাকি ওই মহিলা ডাক্তারকে একটি অশ্লীল MMS পাঠিয়েছিলেন।
এই গুরুতর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কুমারকে সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালের দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হয়।
এই ঘটনা হাসপাতালের কর্মীদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ সৃষ্টি করে, যারা ডিনের অফিসের বাইরে প্রতিবাদ করে এবং পুলিশকে বিষয়টি জানায়।
AIIMS রিশিকেশ পুলিশের জনসংযোগ কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার সিংহ বলেছেন যে তিনি জানেন না কীভাবে পুলিশ গাড়িটি AIIMS প্রাঙ্গণে প্রবেশ এবং প্রস্থান করেছিল। তবে প্রতিবাদী ডাক্তারদের বড় সংখ্যার প্রতিক্রিয়ায় পুলিশ কুমারকে গ্রেপ্তার করার জন্য হাসপাতালে প্রবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সঞ্জীব কুমার সিংহ আরও বলেন যে তদন্তের পর আরও তথ্য প্রদান করা হবে।
দেহরাদুনের SSP অজয় সিং বলেছেন, “১৯ মে, একজন মহিলা জুনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার AIIMS প্রশাসনের কাছে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেন। বিষাখা গাইডলাইন অনুযায়ী, এই বিষয়ে তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। অভিযুক্তকে পরের দিনই বরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যেই তিনি হাসপাতালের মানসিক বিভাগে ভর্তি হন। পুলিশ এই বিষয়ে অবগত ছিল না কারণ হাসপাতাল অভ্যন্তরীণ তদন্ত চালাচ্ছিল। তাকে ভর্তি দেখতে পেয়ে, হাসপাতালের কর্মীরা পুলিশকে ডাকে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কর্মীরা খুবই ক্ষুব্ধ ছিল, তাই অভিযুক্তকে নিরাপদে বের করে আনার জন্য আমাদের একটি সুরক্ষিত পথ প্রয়োজন ছিল। তাই আমরা জরুরি/ভিআইপি র্যাম্প ব্যবহার করি যাতে অভিযুক্ত রোগীকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া যায়। এতে কোনো রোগী আহত বা সমস্যায় পড়েনি।”
আরো জানুন – 2024 সালের TOP 10 ইউটিউ চ্যানেল